এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি
গুগলে কিছু সার্চ দিতে সাবধান
কিছুদিন আগে কৌতুহলবশতঃ "হেলিকপ্টারের দাম কত?" লিখে Google এ Search করেছিলাম। এরপর থেকে আমার জীবন এলোমেলো হওয়ার দশা। YouTube, Facebook, Instagram- যেখানেই যাই শুধু বড়লোকী বিজ্ঞাপন! এই ছুটিতে ঘুরে আসুন বুর্জ খলিফা... প্রিয় মানুষকে দিন ডায়মন্ড উপহার... আপনার অপেক্ষায় মিশরের পিরামিড... অগ্রীম বুকিং দিন IPhone 16... কানাডায় কিনুন স্বপ্নের বাড়ি... কত আর সহ্য করা যায়? বিপদ থেকে উদ্ধারের উপায় তাই বের করতেই হলো। গতকাল রাতে সার্চ করেছি- "ছিড়া জুতা সেলাই করার উপায় কি?"' আলহামদুলিল্লাহ্... সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। বিজ্ঞাপনের লেভেল এখন আমার লেভেলে নেমে এসেছে। আজ সকাল থেকে YouTube আমাকে দেখাচ্ছে মাত্র ১২০ টাকায় কিনুন দুইটা স্যান্ডেল, সাথে ১০ টাকা ক্যাশব্যাক!
পর্দা হিজাব কতখানি ধর্ষন ঠেকায়
পর্দা-হিজাব কতোখানি ধর্ষণ ঠেকায়? কিংবা, পর্দার বিধান কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা এজন্যেই নাযিল করেছেন যে— যাতে করে সমাজ থেকে ধর্ষণ, যিনা-ব্যভিচার উঠে যায়? আমার ধারণা এটা একটা ভুল প্রশ্ন। মহিলারা পর্দা-হিজাব করলে ধর্ষণের হার হয়তো কমবে, হয়তো যিনা-ব্যভিচারও হ্রাস পাবে, কিন্তু তা শুধু পর্দা-হিজাব করছে বলেই নয়, ইসলামি অনুশাসন মানুষ মেনে চলছে বলেই। একটা সমাজে পুরুষেরা যদি দৃষ্টির হেফাযত করে এবং মহিলারা যদি পর্দায় নিজেদের আবৃত করে, এবং উভয়দলের অন্তরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ তাকওয়া বিদ্যমান থাকে, তাহলে ওই সমাজ থেকে ধর্ষণ সহ যাবতীয় অনৈতিক কাজের পরিমান একেবারে কমে আসবে। কিন্তু তবুও কথা হলো— ধর্ষণ কমানোর জন্যই কেবল পর্দা-হিজাবের বিধান আসেনি কিন্তু। এমন একটা দেশের কথা চিন্তা করা যাক যেখানে শারীয়াহ আইন পুরোপুরি কার্যকর। সেখানে চুরি করলে হাত কাটার বিধান আছে, যিনা-ব্যভিচারে পাথর মেরে হত্যার বিধান আছে। রাষ্ট্রীয় আইনে যেহেতু ধর্ষণ জাতীয় ঘটনার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেখানে কোন পুরুষের সাধ্য নেই কোন মহিলার দিকে হাত বাড়ায়। যেহেতু সেখানে কোন ধর্ষণ হয় না, রাষ্ট্র হতে দেয় না, রাষ্ট্র মারাত্মক পর্যায়ের ত...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন